Ad Code

দশম শ্রেণী বাংলা পর্ব-3



দশম শ্রেণি - বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 3 QUESTION

শ্রেণি দশম- বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 3 ANSWER

1. তপনের সবচেয়ে দুঃখের দিন মনে করার কারণ -

স্বরচিত গল্প পড়তে গিয়ে তপন দেখে সংশোধনের উপলক্ষে ছোট মেসো তার গল্পটি আগাগোড়া বদলে দিয়েছেন ।তার নিজের লেখার সঙ্গে মিল অপেক্ষা অমিল বেশি ।লজ্জিত এবং অপমানিত তপনের চোখ অশ্রুপূর্ণ হয়ে ওঠে ।সবচেয়ে আনন্দের দিনটি তার কাছে সবচেয়ে দুঃখের বলে মনে হয়।

2. আমাদের ইতিহাস নেই উপলব্ধির কারণ--

প্রদত্ত উক্তিটি শঙ্খ ঘোষ রচিত আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতা থেকে গৃহীত। সাধারণ মানুষের মুখপাত্র হয়ে কথাটি বলেছেন ।প্রকৃত অর্থেই ইতিহাস হল কোন জাতীর সভ্যতার বিকাশের গৌরবময় কাহিনী ও তার ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার ।অতীতের উপর দাঁড়িয়ে বর্তমানকে নির্মাণ করতে পারলেই ইতিহাস যথাযথ হয় ।কিন্তু ক্ষমতাশালীরা ইতিহাসের বিকৃতি ঘটায় এবং সুবিধা মত ভুল পথে চালিত করে।সাধারন মানুষ একসময় সত্য ইতিহাস ভুলে চাপিয়ে দেওয়া ইতিহাসকে সত্য বলে মেনে নেয়।এই প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে কবি উক্ত পংক্তির অবতারণা করেছেন।

3. এল মানুষ ধরার দল --তাদের আগমনের আগে আফ্রিকা--

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত আফ্রিকা কবিতায় সৃষ্টির প্রথম কালে আফ্রিকা মহাদেশ ছিল অরণ্যসংকুল মহাদেশ ।দুর্গমের রহস্য নিয়ে সে ছিল আবৃত।নিজেকে ভয়াল ভয়ঙ্কর করে গড়ে তুলেছিল বহির শক্তির থেকে নিজেকে বাঁচাতে। নিজেকে উগ্র করে বিভীষিকাময় হয়ে নিজের ভয় কে জয় করতে চেয়েছিল ।অন্যদিকে সে ছিল উন্নত সভ্যতার উপেক্ষা ও উদাসীনতার শিকার।এই উদাসীনতা ও অপেক্ষা এই উদাসীনতা ও উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে অবশিষ্ট পৃথিবীর নিকট সে ছিল অজ্ঞাত।

4.সব মিলিয়ে ....একটা অনুষ্ঠান- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ-

শ্রীপান্থ রচিত হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধে লেখকরা ছোটবেলায় যেভাবে কলম কালি তৈরি করতেন সেই প্রসঙ্গে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন।

একসময় বাঁশের কঞ্চি কেটে কলম তৈরি হতো।যাতে কালি ঠিকমতো পড়ে তার জন্য মুখটা একটু চিরে দেয়া হতো। আর তখন লেখা হতো কলাপাতায় ।এর সঙ্গে কালিও তৈরি করতে হতো নিজেদের ।কাঠের উনুনে রান্না করা কড়াইয়ের তলা থেকে লাউ পাতা দিয়ে ঘষে কালি তুলতে হতো ।এরপর সেই কালি পাথরের বাটিতে জল দিয়ে কখনো কখনো হরিতকী বা আতপ চাল ভেঙে গুঁড়ো করে মিশিয়ে দেয়া হতো ।তারপর ন্যাকড়া দিয়ে ছেঁকে মাটির দোয়াত ঢেলে নেওয়া হত। বাঁশের কলম, মাটির দোয়াত, ঘরে তৈরি কালিএবং কলাপাতা এত কিছু নিয়ে তবেই প্রথমদিকের লেখা সম্ভব হতো।এরপর এলো কাচের দোয়াত এবং ট্যাবলেট বা গুলি ।আর তারপরে এল তৈরি কালি এবং ফাউনটেনপেন বা রিজার্ভার কলম।ঝরনা কলম অনেকে সোনা দিয়ে তৈরি করতেন।এত কিছু আয়োজন করা সময় ও পরিশ্রমসাধ্য বলে এই মন্তব্য করা হয়েছে।

5. সব চূর্ণ .....আগুনে -পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করো--

পাবলো নেরুদার অসুখী একজন কবিতার পংক্তি এটি ।উক্ত কবিতায় কবির প্রিয় বাড়িটি কিভাবে ধ্বংস হয়ে গেল সে কথাই বলা হয়েছে ।বিপ্লবীর পথ সংগ্রামের দুর্গম পথ ।সুতরাং যুদ্ধ সেখানে অনিবার্য ।ধ্বংস আর রক্তাক্ততাকে সঙ্গে করে যুদ্ধ আসে ।কবির মতে সমতলভূমিতে আগুন অনেক কিছু ধ্বংস করে দেয় ।অর্থাৎ মানুষের চিরাচরিত বিশ্বাসে আঘাত লাগে ।যুদ্ধের আগুনে সমস্ত স্মৃতিচিহ্নের ।সাথে কবির প্রিয় জিনিস গুলো ধ্বংস হয়।আগুনের শিখায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় চারিদিকের সবকিছু।এইরকম একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে কবির অভিমত।

6. অনুক্ত কর্তা- কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের কর্তা প্রধানরূপে উক্ত হয়না বলে তাকে অনুক্ত কর্তা

বলে । উদাহরণ- তোমার দ্বারা এ কাজ হবে না। --তোমার।

7. অকারক পদ- যেসব পদের সাথে বাক্যের ক্রিয়াপদের সম্পর্ক থাকে না কিন্তু অন্য পদের সম্পর্ক থাকে তাকে বলে অকারক পদ।

এটি দুই প্রকার -

ক. সম্বন্ধ পদ -সাহেবের বাড়িতে অতিথি এসেছে ।

--সাহেবের --সম্বন্ধ পদ ।

খ. সম্বোধন পদ--হে পিতৃব্য ইচ্ছে তব বাক্যে ইচ্ছি মরি বারে।

--হে পিতৃব্য--সম্বোধন পদ।

8. তির্যক বিভক্তি- যে বিভক্তি চিহ্ন একাধিক কারকে ব্যবহৃত হয় তাকে বলে তির্যক বিভক্তি। যেমন -এ

Post a Comment

0 Comments