Ad Code

সপ্তম শ্রেণী পরিবেশ ও বিজ্ঞান- পর্ব 2

 সপ্তম শ্রেণি

পরিবেশ ও বিজ্ঞান


1. সংকেত লেখ

ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড

সোডিয়াম সালফেট



2.মাটির কলসির জল ঠান্ডা থাকে কি করে তার ব্যাখ্যা দাও

মাটির কলসির গায়ে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে। ওই ছিদ্রগুলো দিয়ে সামান্য পরিমাণ জল কলসির বাইরে বেরিয়ে আসে ।ওই জলের বাষ্পীভবনের জন্য প্রয়োজনীয় লীনতাপ কলসি ও কলসির ভিতরে থাকা জল থেকে সংগ্রহ করে ঠান্ডা হয়ে পড়ে।

3. প্রত্যক্ষ সংযোগ বিক্রিয়া বলতে কী বোঝায় ?প্রত্যক্ষ সংযোগ বিক্রিয়ার একটি উদাহরণ দাও।

দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থ যুক্ত হয়ে যদি বিক্রিয়াজাত পদার্থ উৎপন্ন হয় তখন এই ধরনের বিক্রিয়া কে প্রত্যক্ষ সংযোগ বিক্রিয়া বলে।

4. বিভিন্ন খাবারে উপস্থিত ফাইটোকেমিক্যালস আমাদের কিভাবে সাহায্য করে ?

ফাইটোকেমিক্যালস হল এমন কতকগুলো রাসায়নিক উপাদান যা কেবলমাত্র উদ্ভিদই উৎপাদন করতে পারে ।ফাইটো কথার অর্থ হল প্লান্ট বা উদ্ভিদ। এই ফাইটোকেমিক্যালস প্রধানত ফল, শাকসবজি ,দানাশস্যে আমরা পেয়ে থাকি । এই ফাইটোকেমিক্যালস গুলো কোষকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। এদের অভাবে ক্যান্সার পর্যন্ত দেখা যায় ।অর্থাৎ কোশে ফাইটোকেমিক্যালস এর উপস্থিতি কোশ কে কারসিনোজেনের হাত থেকে বাঁচায়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইটোকেমিক্যালস হল-বিটা ক্যারোটিন এবং অন্যান্য ক্যারোটিনয়েড যা ফল ও সবজিতে থাকে , পলাইফেনোলস যা চা তে থাকে , ফ্লাভোনয়ডস যা সয়াবিনে থাকে।

5. রোজ চাওমিন এগ রোল পেস্ট্রি বিরিয়ানি ইত্যাদি ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে ?

- রোজ চাওমিন, এগরোল. বিরিয়ানি ইত্যাদি ফাস্টফুড জাতীয় খাবার

খেলে ডাইজেস্টিভ এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ওপর এর গুরুত্বপূর্ণ

প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

এর ফলে যে যে সমস্যা হতে পারে সেগুলি হল -স্থূলতা বা ওবেসিটি, হজম ঘটিত বিভিন্ন সমস্যা , হৃদপিন্ডের রোগ, স্ট্রোক ,ডায়বেটিস বা মধুমেহ (টাইপ 2 ), ফ্যাটি লিভার ,ক্যান্সার । মানুষ অল্প বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে।কারণ এই জাতীয় খাবার রক্তে LDL বা bad cholestero মাত্রা বাড়ায় এবং HDL বা good cholesterol এর মাত্রা কমায় যা টাইপ 2 ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের অন্যতম কারণ।

6 . জীবদেহে জলের যে কোন তিনটি ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।

জল হল দেহ সংরক্ষক খাদ্য ।

i) জলের মাধ্যমে রেচন পদার্থ দেহের বাইরে বেরিয়ে যায় এবং বহু

রোগজীবাণু দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়।

ii) জল জীবদেহে সংবহনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে ।

কোনো কোনো জীবদেহে জল সংবহনতন্ত্র দেখা যায় ।

iii) জীবদেহে নিম্নলিখিত প্রক্রিয়াগুলো জলের উপর নির্ভরশীল যেমন বাষ্পমোচন, সালোকসংশ্লেষ , পরিবহন, শোষণ ,ব্যাপন, অভিস্রবণ, রসের উৎস্রোত ইত্যাদি।

iv) জল ছাড়া জীবদেহ অচল তাই জলের অপর নাম জীবন। রক্তে প্রায় 92 শতাংশ জল থাকে।জলের মাধ্যমে খনিজ লবণ, ভিটামিন এ্যামাইনো এ্যাসিড ,গ্লুকোজ ও অন্যান্য উপাদান শোষিত হয় জল কোষে কোষে পুষ্টি দ্রব্য পরিবহন করে।জলের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থ ও নানা বিষাক্ত পদার্থ দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়।

v) জল মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

vi) জল দেহ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।



Post a Comment

0 Comments