Ad Code

দশম শ্রেণী বাংলা পর্ব-1




 দশম শ্রেণী বাংলা পর্ব-1

1. তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায় - তাৎপর্য

সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্পে হরিদা চরিত্র প্রধান চরিত্র I

অন্যদের বহুরূপী সেজে তিনি অন্যদের যেমন আনন্দ দিতেন

তেমনি তার কিছু রোজগারও হতো I এই পেশাটির প্রতি তার ভালোলাগা এবং আন্তরিকতা ছিল I হরিদা তার সঙ্গী কথক ও বন্ধুদের অবাক করে টাকা ফেরত দেন এবং টাকা নিলে সন্ন্যাসীর ঢং নষ্ট হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন I

2. ঘুচাবো এ অপবাদ বধি রিপুকূলে -

বক্তা - মধুসূদন দত্ত রচিত মেঘনাদবধ কাব্যের অংশ অভিষেক নামক আমাদের পাঠ্যাংশে বক্তা রাবণ পুত্র মেঘনাদ বা ইন্দ্রজিৎ I

অপবাদ -মেঘনাথ প্রমোদ কাননে বিলাসে মত্ত থাকাকালীন লক্ষ্মীর মুখ থেকে জ্ঞাত হন বীরবাহুর মৃত্যু সংবাদ I ইন্দ্রজিৎ মনে করেন রামসেনা যখন লঙ্কা তে গিয়ে রেখেছে তখন তার বিলাস ব্যসনে সময় কাটানো ধিক্কারজনকI উপরন্তু তিনি জানতে পারেন রাবণ যুদ্ধ যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন I উপযুক্ত সন্তান থাকতে একাজও নিন্দনীয় I তাই তিনি শত্রু দলকে বধ করে এই অপবাদ ঘোচাতে চেয়েছেনI

বক্তার প্রস্তুতি-

শত্রু সৈন্যদের বিনাশ করার জন্য তিনি প্রস্তুত হন I মেঘবর্ণ রথ , চক্রে বিজলির দীপ্তি , উজ্জ্বল রথের পতাকা , দ্রুতগতি অশ্ব বাহিনী ইত্যাদি নিয়ে তিনি রণসাজে সজ্জিত হন I প্রচন্ড আক্রোশে ধনুকে টংকার দিলে মেঘের ন্যায় গম্ভীর এবং তীব্র শব্দ হয় I যাতে গরুর পর্যন্ত ভীত হয় I

3. তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত-

শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত সিরাজউদ্দৌলা নাটকে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ফরাসি প্রতিনিধি  মাঁসিয়ে লা কে উদ্দেশ্য করে এই উক্তিটি করেছেন I মাঁসিয়ে লা সিরাজের দরবারে এসেছিলেন ইংরেজদের কাছ থেকে চন্দননগর উদ্ধারে নবাবের সাহায্যের আশ্বাস পেতে I প্রাসঙ্গিকভাবে নবাব ফরাসি বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং তাদের সদ্ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন I ইংরেজদের কার্যাবলী সম্বন্ধে নবাব ওয়াকিবহাল সেটা অবহিত করেন I কিন্তু কলকাতা জয় করতে এবং পূর্ণিয়ায় শওকত জনজোর সঙ্গে লড়াইয়ে তার লোকক্ষয় ও অর্থ ব্যয় হয় I এছাড়া নবাবের মন্ত্রিমন্ডল যুদ্ধে অনাগ্রহী ছিলেন I

এমতাবস্থায় ফরাসিদের প্রতি সহানুভূতি এবং সমর্থন থাকলেও প্রত্যক্ষ সাহায্যে ছিলেন অসমর্থ

অক্ষমতার জন্যই নবাব সিরাজউদ্দৌলা লজ্জা প্রকাশ করেছেন I

4. ওই ভাঙ্গা গড়ার খেলা তবে যে তার কিসের তবে ডর -

ইঙ্গিত-

অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই কখনো শান্তির পথে সম্ভব নয়

ভয়ঙ্কর মূর্তিতে হয় সুন্দরের অভিষেক I বাস্তবেও আমরা দেখি ধ্বংসের মধ্যে সৃষ্টির বীজ I

আর তাই ধ্বংস দেখে ভীত না হয়ে জয়ধ্বনি করা দরকার I সাহসের সঙ্গে ভয়ানকের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে I ভয়ঙ্কর সুন্দর কে স্বাগত জানানোই কবির লক্ষ্য I

5.বাবুটির স্বাস্থ্য ......বজায় আছে

শরৎচন্দ্রের পথের দাবী রচনার অংশের অন্যতম প্রধান চরিত্র গিরীশ মহাপাত্রের কথা বলা হয়েছে I

স্বাস্থ্য -

সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে ধৃত গিরীশ মহাপাত্রের বয়স 30 থেকে 32 এর মধ্যে Iরোদে পুড়ে গায়ের রং তামাটে বর্ণ ধারণ করেছে এবং প্রচণ্ড কাশছিল I মনে হয়েছিল দম ফুরিয়ে আসছে I

শখ--

মাথার সামনের চুল বড় বড় হলেও ঘাড় ও কান এর কাছে ছিল না I আর চুল থেকে বেরচ্ছিল লেবুর তেলের গন্ধ I গায়ে ছিল জাপানি সিল্ক এর রামধনু রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি এবং বুক পকেটে বাঘ আঁকা রুমাল I বিলাতি মিলের কালো মখমলের সূক্ষ শাড়ি,তার সাথে সবুজ ফুল মোজা, লোহার সোল বাঁধানো বার্নিশ করা পাম শু আর হরিণের সিংয়ের হাতল দেওয়া বেতের ছড়ি হাতে ছিল I

Post a Comment

0 Comments