নবম শ্রেণী বাংলা ব্যাকরণ পর্ব -অব্যয় পদ ১
অর্থবোধক ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছকে বলে শব্দ ।
শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হয়ে বাক্যে ব্যবহৃত হলে তাকে বলে পদ । পদ দুই প্রকার । নাম পদ ও ক্রিয়াপদ । নাম পদ চার প্রকার । বিশেষ্য ,বিশেষণ ,সর্বনাম ,অব্যয় । সুতরাং আমরা পদকে সহজে পাঁচ প্রকার বলতে পারি ।
আজকের পাঠ্যবিষয় অব্যয় পদ
অব্যয় অর্থাৎ নাই ব্যয় যার । কোন অবস্থার যে পদের কোনো পরিবর্তন হয় না ।
বিভক্তি ,লিঙ্গ ,বচন ,পুরুষ ভেদে যার কোন পরিবর্তন হয় না এবং সব অবস্থায় অপরিবর্তনীয় তাকে বলে অব্যয় পদ । যেমন -এবং, কিন্তু, ও ,ইত্যাদি, সাত ভাই চম্পা জাগো রে ।
বাংলায় ব্যবহৃত অব্যয় দুই ধরনের ।
1.সংস্কৃত অব্যয় -
এবং ,অতএব ,যদি ,বরং,যদি, সদৃশ, সর্বদা, প্রত্যহ , সুতরাং ,নিতান্ত ,নতুবা, ইত্যাদি ।
2. খাটি বাংলা অব্যয় -
না ,বা ,আচ্ছা, ছি ছি , ইস ইত্যাদি ।
ছি ছি ।একি করেছো ?
আমরি । কি সুন্দর ছবি ।
কাজের প্রকৃতি অনুসারে অব্যয় পদকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয় ।
পদান্বয়ী , বাক্যান্বয়ী ,ভাববাচক ।
পদান্বয়ী অব্যয় -
যে অব্যয় পদ বাক্যের মধ্যে দুটি পদের মধ্যে অন্বয় সাধন করে বা সম্পর্ক সাধন করে তাকে বলে পদান্বয়ী অব্যয়।
পদান্বয়ী অব্যয় তিন ভাগে বিভক্ত ।
ক) সাদৃশ্য বাচক
খ ) সীমা বাচক
গ ) ব্যতিরেক বাচক
সাদৃশ্য বাচক-
বাক্যের মধ্যে সাদৃশ্য বোঝাতে ব্যবহৃত হয় ।
মায়ের মত আপন কেউ নয় ।
সীমা বাচক -
সীমা বোঝাতে ব্যবহৃত হয় ।
আজ পর্যন্ত তোমার দেখা পেলাম না ।
ব্যতিরেক বাচক -
ছাড়া ,ব্যতীত ,ভিন্ন, ইত্যাদি অর্থ বোঝাতে বাক্যে এই ধরনের অব্যয় ব্যবহৃত হয় ।
কানু বিনা গীত নাই ।
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় না ।
সে ছাড়া কেউ জানে না ।
0 Comments