Ad Code

দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান CH 2 MCQ TEST

কোশচক্র : কোশ বৃদ্ধি ও বিভাজনের বিভিন্ন দশার চক্রাবর্ত আবর্তনকে কোশচক্র বলে। কোশচক্রের প্রধান দুটি পর্যায় হল—ইন্টারফেজ এবং মাইটোটিক ফেজ।

মাইটোসিস :মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় একটি মাতৃকোশের প্রথমে নিউক্লিয়াসের বিভাজন। ঘটে এবং পরে সাইটোপ্লাজমের বিভাজন ঘটে দুটি অপত্য কোশ সৃষ্টি হয়।
নিউক্লিয়াসের বিভাজন পদ্ধতিকে ক্যারিওকাইনেসিস এবং সাইটোপ্লাজমের বিভাজন পদ্ধতিকে সাইটোকাইনেসিস বলে।
মাইটোসিসের ক্যারিওকাইনেসিসের চারটি দশা হল—প্রফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ এবং টেলােফেজ।
প্রফেজ : এই দশার বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
(i) এই দশায় ক্রোমাটিন সূত্রগুলি জল বিয়ােজন ঘটিয়ে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে।
(ii) ক্রোমাটিন সূত্রগুলি কুণ্ডলীকৃত হয়ে ক্রমশ ছােটো ও মােটা হয় এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমােজোম সৃষ্টি করে।
(iii) প্রফেজ দশার শেষের দিকে নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয় পর্দার বিলুপ্তি ঘটে।
(iv) প্রাণীদের ক্ষেত্রে সেন্ট্রোজোমের সেন্ট্রিওল দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি সেন্ট্রিওল গঠন করে এবং নিউক্লিয়াসের দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে।
মেটাফেজ : এই দশার বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
(i) বেম বা স্পিন্ডল গঠিত হয়। বেমের উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বেতন্তু বিস্তৃত থাকে।
(ii) ক্রোমােজোমগুলির বেমের বিষুব অঞলে বা নিরক্ষীয় তলে অর্থাৎ বেমের মাঝখানে ক্রোমােজমীয় তন্তুর সঙ্গে সেন্ট্রোমিয়ারের সাহায্যে সংলগ্ন থাকে।
(iii) প্রাণীকোশের ক্ষেত্রে অ্যাস্ট্রাল রশ্মি এবং উদ্ভিদ কোশের ক্ষেত্রে সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত মাইক্রোটিবিউল তন্তু গঠন করে।

মিয়ােসিস কোষ বিভাজনকে হ্রাস বিভাজন বলার কারণ :
মিয়ােসিসের ফলে ডিপ্লয়েড (2n) মাতৃকোশের ক্রোমােজোম সংখ্যা হ্রাস ঘটিয়ে হ্যাপ্লয়েড (n) জনন কোশ সৃষ্টি হয়। ফলে ক্রোমােজোম সংখ্যার হ্রাস ঘটে প্রজাতির ক্রোমােজোম সংখ্যা বংশপরম্পরায় ধ্রুবক থাকে। মিয়ােসিসে মাতৃকোশের ক্রোমােজোম সংখ্যা অপত্য কোশে অর্ধেক হয়ে যায়। তাই মিয়ােসিসকে হ্রাস বিভাজন বলে। ক্রসিংওভার : মিয়ােসিস- এর প্রফেজের অন্তর্ভুক্ত প্যাকাইটিন উপদশায় যে পদ্ধতির মাধ্যমে দুটি সমসংস্থ ক্রোমােজোমের নন সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে খণ্ডাংশের বিনিময় ঘটে তাকে ক্রসিংওভার বলে।
মিয়ােসিস- এর প্রফেজের অন্তর্ভুক্ত প্যাকাইটিন উপদশায় দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে।
ক্রসিংওভারের গুরুত্ব :
(i) ক্রসিংওভারের ফলে ক্রোমােজোমের জিনের পুনসংযুক্তি ঘটে। এই কারণে গ্যামেটগুলিতে নতুন বৈশিষ্ট্যের আবির্ভাব হয়। এই ধরনের রিকম্বাইড গ্যামেট নিষেকের মাধ্যমে হয়ে নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন অপত্যের সৃষ্টি হয়।
(ii) নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীব অভিব্যক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যে অযৌন জনন পদ্ধতিতে উদ্ভিদের যে-কোনাে অঙ্গ বা তার অংশবিশেষ জনিতৃ উদ্ভিদ দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোশ বিভাজন ও বৃদ্ধির দ্বারা নতুন অপত্যের সৃষ্টি করে, তাকে অঙ্গজ জনন বলে।।
প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন পদ্ধতি : প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে অঙ্গজ জনন বিভিন্ন প্রকারের হয়। এগুলি সম্পর্কে নীচে আলােচনা করা হল।
(i) পাতা-
কিছু কিছু উদ্ভিদের ক্ষেত্রে, যেমন পাথরকুচি, বিগােনিয়া প্রভৃতি উদ্ভিদের পাতার কিনারা থেকে অস্থানিক মুকুল জন্মায়। একে পত্রাশয়ী মুকুল বলে। এই পত্রাশয়ী মুকুলের নীচের দিক থেকে আবার প্রচুর অবস্থানিক মূল বের হয়। পরে প্রতিটি পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে অনুকূল পরিবেশে নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয়।
(ii) মূলে-
: কিছু কিছু উদ্ভিদে, যেমন পটল, রাঙাআলু প্রভৃতি উদ্ভিদের | রসালাে মূল থেকে অস্থানিক মুকুল জন্মায়। একে মূলজ মুকুল বলে। পরে এই মুকুলসহ মূল খণ্ড খণ্ড করে মাটিতে রােপণ করলে নতুন উদ্ভিদ জন্মায়।।
(iii) কাণ্ডের মাধ্যমে : পরিবর্তিত কাণ্ডের দ্বারা অঙ্গজ জনন দু-ভাবে সম্পন্ন হয়। এগুলি হল—
(1) মৃদগত কাণ্ড-
: আদা, পেঁয়াজ, আলু প্রভৃতি উদ্ভিদের কাণ্ড মাটির নীচে খাদ্য সঞয় বা প্রতিকূল পরিবেশের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পরিবর্তিত হয়ে বিশেষ আকার ধারণ করে। একে মৃগত কাণ্ড বলে। এই মৃগত কাণ্ডের গা থেকে মুকুল উৎপন্ন হয় এবং উৎপন্ন মুকুল অঙ্গজ জননের মাধ্যমে নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয়। বিভিন্ন প্রকার মৃত কাণ্ড হল—আলুর স্ফীতকন্দ, আদার গ্রন্থিকাণ্ড, পেঁয়াজের কন্দ এবং ওলের গুঁড়িকন্দ।
(2) অর্ধবায়বীয় কাণ্ড-
: থানকুনি, পুদিনা, শুশনি, চন্দ্রমল্লিকা, কচুরিপানা প্রভৃতি উদ্ভিদের অর্ধবায়বীয় কাণ্ড থেকে কতগুলি শাখা বের হয়, যা মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।

CLICK BELOW TO GIVE TEST



Post a Comment

0 Comments