Ad Code

SPACE

 🌏🌠☀️বৃহস্পতি এবং শনি শেষবার সবচেয়ে কাছাকাছি এসেছিল ৩৯৭ বছর আগে গ্যালিলেই তার টেলিস্কোপ আবিষ্কার করার অল্প কয়েক বছর পর। কিন্তু এবারে তারা পুরো মিলে যেতে চলেছে যা অভিনব একটি প্রক্রিয়া।

"আকাশ পরিষ্কার থাকলে বৃহস্পতি আর শনি গ্রহকে সবচেয়ে সহজে দেখা যায়," বলেছেন 

গ্রেনিচে রয়াল অবজারভেটরির আরেকজন #জ্যোতির্বিদ_এড_ব্লুমার।

এই গ্রহ দুটির মহা সম্মেলন বলতে বোঝানো হয়, যখন তারা একে অপরের একেবারে সামনাসামনি আসে এবং যখন দেখে মনে হয় তারা দুজনে পুরো এক হয়ে গেছে এবং সম্মিলিতভাবে একক একটা গ্রহ হিসাবে আকাশে জ্বলজ্বল করছে।

আর ঠিক সেটাই ঘটতে চলেছে ২১শে ডিসেম্বর। এড বলছেন, "এই দুটি 'প্রদক্ষিণরত গ্রহ' বৃহস্পতি ও শনি মহাকাশে এত কাছাকাছি আসবে যে মনে তারা যেন একে অপরকে স্পর্শ করে আছে।"

বৃহস্পতি গ্রহের অসাধারণ কিছু ছবি পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

খালি চোখে দেখে মনে হবে দুটি গ্রহের মধ্যে তফাৎ মাত্র ০.১ ডিগ্রিরও কম, অর্থাৎ তারা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। এটা মহাজগতে আমাদের দৃষ্টিপথের কেরামতি। বর্তমানে পৃথিবী ও বৃহস্পতির মধ্যে দূরত্ব ৮০ কোটি কিলোমিটারের বেশি। বৃহস্পতি ও শনির মধ্যেও দূরত্ব প্রায় একইরকম।

কিন্তু এই দুটি বিশাল গ্রহকে আমাদের রাতের আকাশে দেখা যায় একটু একটু করে পরস্পরের কাছে সরে আসতে, তারপর একটা সময় আমাদের দেখে মনে হয় তারা মিলে এক হয়ে গেছে।

"তাদের এই মিলন দেখতে দারুণ লাগবে, বিশেষ করে তাদের এক হয়ে যাবার আগের ও পরের কয়েক দিন দেখা যাবে কীভাবে তারা কাছে আসছে এবং কীভাবে তাদের বদল ঘটছে," বলছেন বিজ্ঞানী এড।অবশ্যই জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং মহাকাশ বিষয়ে উৎসাহীদের জন্য এটা দারুণ একটা ব্যাপার। বায়নোকুলার বা ছোট টেলিস্কোপ থাকলে এমনকী বৃহস্পতির চারটি চাঁদও দেখা যায় - আইও, ইউরোপা, গ্যানিমিড এবং ক্যালিস্টো।

এই চাঁদগুলোকে গ্যালিলিয়ান চাঁদও বলা হয়। কারণ ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলেই ১৬১০ সালে তার সদ্য আবিষ্কৃত টেলিস্কোপ দিয়ে এই চাঁদগুলোর প্রথম দেখা পান।

[👉দেখা যাবে সন্ধ্যা ৫.২৮ থেকে ৭.১২ অবধি। দক্ষিণ পশ্চিম আকাশে দিগন্ত রেখার উপরে।]

🔘কৌন্তেয় নাগ, পঃবঃবিজ্ঞান মঞ্চ collected

Post a Comment

0 Comments